অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : ‘বিএনপির নেতৃত্বে যারা আছেন, তারা সবাই রাজাকার ও আল-বদরের সন্তান। তাই তারা সবসময় দেশের অমঙ্গল কামনা করেন এবং বাংলাদেশের অগ্রগতি চায় না’ বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম এমপি।
শুক্রবার দুপুরে সাভারের এনাম মেডিকেল কলেজ অ্যান্ড হাসপাতাল অডিটোরিয়ামে ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত যৌথ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
মির্জা আজম বলেন, প্রতিদিন পত্রিকা খুললেই আমরা দেখতে পাই- বিএনপির মিথ্যাচার। আসলে তারা আওয়ামী লীগের উন্নয়নে ঈর্ষান্বিত হয়ে প্রতিনিয়ত এই মিথ্যাচারগুলো করে। এর মধ্যে আমাদের পাশের দেশ শ্রীলংকার অর্থনৈতিক অবস্থা খারাপ হওয়ায় খবরে তারা আরো আনন্দিত এবং উৎসাহিত হয়ে উঠেছে। তাদের ধারণা, এই বুঝি বাংলাদেশের অবস্থাও শ্রীলংকার মত হচ্ছে। কিন্তু এরাও তো বাংলাদেশের নাগরিক। তাহলে এরা কীভাবে নিজের দেশের এমন অমঙ্গল কামনা করে? কারণ তারা তো চায়নি বাংলাদেশের জন্ম হোক। ১৯৭১ সালের সেই স্বাধীনতাবিরোধী রাজাকার ও আলবদর বাহিনীর যারা নেতা ছিল- তাদের পরবর্তী প্রজন্মই এখন এই দলটাকে নেতৃত্ব দিচ্ছে।
এসময় তিনি বলেন, বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ১৯৭১ সালে ভারত গিয়ে নাম ফাটিয়েছিলেন- মুক্তিযুদ্ধ করেছেন, কিন্তু মুক্তিযোদ্ধারা তার এই কথা বিশ্বাস করেননি। তাকে মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে স্বীকৃতি দেননি। কারণ তার বাবা মির্জা রুহুল আমীন ছিলেন ঠাকুরগাঁও জেলার পিস কমিটির বিশাল নেতা। তিনি জীবিত থাকলে তার বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধী বিচার ট্রাইব্যুনালে মামলা হতো এবং যুদ্ধাপরাধীর দায়ে তার ফাঁসি হতো। সেই যুদ্ধাপরাধীর ছেলে আজকে বিএনপির মহাসচিব। আজকে বিএনপির নেতৃত্বে যারা আছেন, তারা সবাই রাজাকার আল-বদরের সন্তান। তাই তারা বাংলাদেশের অগ্রগতি চায় না। জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ আজ বিশ্বে উন্নয়নের রোল মডেল আর এটিই তাদের কষ্টের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
এসময় সভার প্রধান আলোচক হিসেবে উপস্থিত দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. এনামুর রহমান বলেন, বিএনপি চাচ্ছে আবারো দেশকে অস্থিতিশীল করে তুলতে। কিন্তু তাদের এই আশা বাস্তবায়ন করতে দেয়া হবে না। সেই লক্ষ্যে ১০ ডিসেম্বর সাভারে আওয়ামী লীগের উদ্যোগে এক বিশাল জনসভার আয়োজন করা হবে, যা বিএনপির মহাসমাবেশকেও ছাড়িয়ে যাবে। বিএনপিকে কোনভাবেই রাজপথ দখল করতে দেয়া যাবে না। আর সেই জন্য ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের প্রতিটি ইউনিট এবং এর অঙ্গসংগঠনের সব নেতাকর্মীকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান তিনি।
ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা বেনজির আহমেদ এমপির সভাপতিত্বে ওই সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন- ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পনিরুজ্জান তরুণ, সাভার উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হাসিনা দৌলা, সাভার উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মঞ্জুরুল আলম রাজীব, সাভার উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ও তেঁতুলঝোড়া ইউপি চেয়ারম্যান ফখরুল আলম সমর, ধামরাই উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা এমএ মালেক, ধামরাই উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও পৌর মেয়র গোলাম কবির মোল্লা, আশুলিয়া থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি ফারুক হাসান তুহিন, আশুলিয়া থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও ধামসোনা ইউপি চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম, কেরানীগঞ্জ উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শাহিন আলমসহ ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের অন্তর্গত সাভার, আশুলিয়া, ধামরাই, দোহার, নবাবগঞ্জ ও কেরানীগঞ্জ আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা।
Leave a Reply